রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে কবিতা
মঞ্চ
~~~
এ বছর রবীন্দ্রনাথের জন্মদিনে
যে ছেলে মেয়েরা বাদ পড়ে গেলো
নাচ গানের তালিকা থেকে,
তাদের কাছে বাটিকের উত্তরীয় মানে
আপশোস, হলুদ তিলকের বিষণ্ণতা,
অনেক বড়ো হয়ে একদিন কোনো
এক ক্ষয়াটে চাঁদের শামিয়ানার
নিচে শুধু ভুলে ভরা সেই মানুষদের
অনুষ্ঠান হবে, তাদের আঁচল থেকে,
চন্দনের ফোঁটা থেকে গড়িয়ে যাবে
কৈশোরের কয়েক দানা অশ্রু,
আজীবন রুদ্ধ থাকা দ্বারের
বালকোচিত আবেগ ...
#চিরশ্রীদেবনাথ
#পঁচিশেবৈশাখ@বৈদেহী
#চিরশ্রীদেবনাথ
হ্যালো ! হ্যালো ! শোনা যাচ্ছে ?
মনে হয় নেট ডাউন। কিছুই শুনতে পাচ্ছেন না।
ওকে।
শুনতে হবে না।
ভাবুন না হয় আমাকে !
অনুভব করুন, বিষে ও অমৃতে,
নাগরিক কোলাহলে ও আদিবাসী গ্রামে।
আমি এখন রক।
আমি এখন রহস্য হারিয়ে ফেলা মোড়কে মোরা দ্রিম দ্রিম।
সমস্ত এশিয়া জুড়ে বইছে দাবদাহ !
হলদে শাড়ি পরে গ্রীষ্মকে প্রবল আহ্বান জানিয়েছিল
ললনারা।
তাই এই দশা, এই কামনাদগ্ধ রূপ।
মোট পঞ্চান্ন দিন বর্ষা আসেনি লাগাতর,
শরীর থেকে যাপনের ছাল উঠে যাচ্ছে ক্রমাগত
হয়তো নতুন করে দেখতে পাবেন একটি উদ্ভিন্ন
সত্তাকে।
অতএব পেশ করে ফেলি অনুরোধ,
নুনের দামও নির্ধারিত আজ প্রত্ন হরফে,
বলছি যে একটা গান লিখতে হবে।
আপনার সব গান শেষ হয়ে গেছে, পড়ে আছে কঙ্কাল।
সুরকে বেঁধে রেখেছে যেন জমাট মেধা।
কিন্তু দিকে দিকে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি।
নতুন গান না হলে চলে বলুন?
ঠিক তেমন একটি গান, যার
শব্দ খেয়ে ফেলেছে সুর,
সুরকে হজম করেছে প্রেম,
প্রেমকে দাহ করে নামছে বর্ষার জলধারা !
ওহো সার্ভার ডাউন, যোগাযোগ হচ্ছে না তাঁর সঙ্গে!
এদিকে সকাল গড়িয়ে যাচ্ছে গোধূলির রাঙাপথে...
কি করছো বৈদেহী? এখনও নতুন গান নামাতে
পারছো না?
মনে হচ্ছে আমি বাদ পড়ে যাবো? তাই না স্যার?
হুম। আরো দুঘন্টা সময় দিচ্ছি, তারপর কী যেন
নাম ...ঐ যে নতুন মেয়েটা, এখনও যার খোলস
ছেঁড়া যায়নি।
ডোন্ট অ্যরি স্যার! আমার খোলসও অক্ষত।
একটু চেষ্টা করছি, ভাবতে দিন।
আহ্ কী হচ্ছে ঠাকুর? সাড়া দাও। অনুভব করো প্লিজ।
খোলস সহ কেমন? আমি আবার ওটার নিচেই
থাকতে ভালোবাসি। শ্যাওলার চাষ করি তো।
চোখ বন্ধ করে আছি।
ধুলোর কণা থেকে রশ্মি বেরুচ্ছে, মাটির গান,
গুঞ্জরিত রূপময় বেদনা, মনে হচ্ছে কিছু একটা হবে,
খুঁজে পাচ্ছি নতুন কোনো বেদ, নিজস্ব স্পর্শ সমূহ।
ইউরেকা !
এই তো পেয়েছি গান সবুজ অক্ষরে লেখা, পান্না'র ক্ষত থেকে ঝরছে অশ্রুধারা ।
কিন্তু ...অসম্পূর্ণ!
দু ঘন্টা শেষ।
কি বললেন স্যার? আমি বাদ পড়েছি!
তবে তাই হোক। আমি যে শেষ লাইন খুঁজে পাই না কখনো ...কোনোদিন
শাস্তি হোক আমার।
ঠাকুর আর জ্বালাচ্ছি না আপনাকে।
আপনি সমস্ত চিৎকার গিলে ফেলুন নীলকণ্ঠের মতো।
ঘুমিয়ে থাকুন কালপুরুষের বিছানায়।
আর আমার খোঁজ চলতে থাকুক অনন্তের পথে ...
রবিপ্রণাম
............
আমি ফিরে আসি প্রতিদিন তাঁর কাছে
যাবতীয় ভুল, অপমানসূত্রতা কাঁধে নিয়ে
সায়াহ্নে রূপসাগরের জল ছুৃঁয়েছে ব্যর্থতা
যেন কিছু নয়, যেন কিছু নয়, যেন আকাশ আমার বিষয় নয়
রৌদ্র, শুষ্কপত্ররাজি ক্লান্ত বাতাস কোনটাই আমার ভাষ্য নয়
কোথাও জমছে খনি, জমছে বারুদ, তৈরি হচ্ছে বিরুদ্ধ প্রাচীর
আমি কি তবে লিখবো বাতিল অসহায়তা
কোথা থেকে আনবো ঈশ্বর, চোখের জল, সুরাসুর সমাগম
এই যে লিখি অন্ধকারের সমাপতন
লিখতে লিখতে বার বার বদলে যাই
তোমাকে দেখি রবি... রবিকে দেখি
দীর্ঘ, ঋষির মতো, বিনয়ের মতো, ঔদ্ধত্যের মতো
যেন রেখেছো হাত আমার সকল তুচ্ছতায়
তব প্রাণে মিশে যেতে যেতে ভাবি
অক্ষরে অক্ষরে ফুলশোভিত যুদ্ধক্ষেত্র, দৃপ্ত আলিঙ্গন, ঝড়ের জানালা সব রেখে গেছো
এখানেই দুটো ভাত বেড়ে খাই,
একমুঠো বৃক্ষ জ্বলে, এক সহস্র জলে আমার ধৃষ্টতা মাথা নত করে রাখে।
#চিরশ্রী দেবনাথ
#########################
একা বিনোদিনী
......................
বিহারী, মহেন্দ্র কাহাকেও আশেপাশে /
দেখিতে পাইলাম না, তাহারা কেহই আমার নয়/
আমি একা বিনোদিণী/
সকালখানি দুইহাজার ষোল, /
প্রায় একশত ষোল বছর আগেকার বালি মেয়ে এই শ্রী/
ল্যাপটপ থেকে বেরোতে থাকে শুধু নিখাদ মধ্যরাত /
বিষাদের মধু আমার শরীরে ফুটিয়ে দেয় /
রোজকার অবাধ ঘাসবন/
চারপাশে অশরীরী আমৃত্যু রবি/
কতবার প্ল্যাটচেটে ডেকেছি তোমায়/
ধূপের ধোঁয়া, ফুলসাজ, পাতা খোলা সঞ্চয়িতা /
কিশোরী মধ্যাহ্নের রবি বিলাস/
পেন্সিলের সরু আঁচড়ে অস্পষ্ট হয়ে যে নাম
লিখিয়ে যেতো আঙুল/
শিউরে ভাবি এ কি সত্যিই আমার রবি /
সব মূহূর্তে আমি শুধুই বিনোদিনী/
বিরহস্বাদ কিছুতেই মেটে না /
প্রেম আমার বিলাসী শবগল্প, অহল্যা সময় ..../
কালো পাথুরে মেয়ে /
ওপর দিয়ে গড়িয়ে যায় তোমার শুস্ক খোয়াই/
গহন কুসুম কুঞ্জ মাঝে প্রবল পদাবলী হয়ে কেবলি
আমার জেগে থাকা, /
এতো সব অপূর্ণ হয়ে ভরে ওঠা রক্তের আনাচকানাচে/
তীব্র ভাবে তাকিয়ে থাকা এক জোড়া সমুদ্র../
শীর্ণ খসখসে আঙুলে আঁকতে থাকি ঝাউবন/
মাঝে মাঝে কেউ যেন বলে যেতে থাকে/
টপোলজির জটিল সূত্র প্রমাণ, মেলাতে চাই না আর .../
সাদা নোটবুকে তারা এঁকে দিয়ে যাক /
অ্যামিবা বিভাজন, দুফোঁটা হাসনুহেনার বাতায়ন /
আচ্ছন্ন ঘুমে অলিন্দ জুড়ে হাঁটতে থাকে
ফ্যাকাশে বিনোদিনী /
ঠোঁট কামড়ে থাকা কালবৈশাখীর গয়না মেয়ে ../
নাভি আর হৃদয়ের মাঝে যে জন্ম বেঁচে আছে
আমার সব স্নান সেখানেই ......
এ ঘোরের মতো সুখ আর নাই রবিকবি ...../
#######
প্রিয় রবি,
বহু কথা জমিয়া আছে। কোথা হইতে শুরু করিব বুঝিতে পারিতেছি না। ইত্যবসরে প্রকৃতির কোন দোষ নাই। সে সকল প্রকার ফুল প্রস্ফুটিত করিয়া, দিকবিদিক আমোদিত করিয়া আপনার জন্মদিবসের জন্য তাহাদের পরিপূর্ণ অর্ঘ্য সাজাইয়া বসিয়া আছে। বৈশাখ তাহার গর্ব অক্ষুণ্ণ রাখিয়া প্রায়শই বজ্র বিদ্যুৎ সহ বিরহকাতর প্রেমিকের ন্যায় ধরার বক্ষে আছড়াইয়া পড়িতেছে। কচি আম্র শাখা চ্যূত হইয়া গড়াগড়ি যাইতেছে। উহাকে তুলিয়া আনিয়া লবন সহযোগে খাইবার কথা মনে করিলেই অম্লস্বাদের কল্পনা করিয়া জিহ্বাগ্র অসুখ শেষে রুচি ফিরিয়া পাইতে আশা করিতেছে। নিতান্তই নগন্য হইলেই বলিয়া রাখি, এইক্ষণে বিদ্যুত চলিয়া গেছে। আমি সামান্য তরিৎআধান পুষ্ট মুঠোযন্ত্রটিকে সম্বল করিয়া একবিংশ শতকের একটি বৃষ্টিমুখর মধ্যাহ্নের ধারা বিবরণী লিখিতেছি যা আপনার সাধারণ মেয়েরা করিত। তাহাদের সুতোর কাজ করা শাড়ির ফলসাবরণ অলস পারে লাগিয়া থাকিত পিতৃগৃহ ছাড়িয়া আসার এক দীর্ঘ বেদনা। পৃথিবীতে মহামারী চলিতেছে। আমি আপনাকে সঙ্গীতে স্মরণ করিতেছি। ইহাকেই সেই রবীন্দ্র সঙ্গীত বলা হয়, যাহা আপনি তীব্র দাবদাহ ক্লান্ত বৈশাখী দুপুরে, উচ্ছসিত প্রনয়িনীর তীব্র অভিমানের মতো শ্রাবণ সন্ধ্যায়, নীলম্বরী শাড়ি পরিহিত অকাল বোধনে, হেমন্তের কামনা প্রিয় বৃদ্ধ জোৎস্নায়, শীতঋতুর ধুলো ধূসরিত পত্রবিতানে তেজবিহীন সূর্যালোকের অলস প্রত্যাগমনরত গোধূলিতে কিংবা বসন্তের শুষ্কতায় চরাচর প্লাবিত এক নিরন্তর অপেক্ষার কথা মনে করিয়া একান্তই আমার জন্য লিখিয়া ছিলেন। বহির্জগৎ হইতে একপ্রকার বিচ্ছেদ যখন আমাদিগের অন্তস্থলে সপ্তরঙ ঢালিয়া দেয়, তখনি নাকি প্রকৃত কবিতার জন্ম হয়, বিদ্বজ্জনে কহে আপনি পাশ্চাত্য কবি শেলির দ্বারা কোথাও কোথাও প্রভাবিত। তাহার সমস্ত চিন্তাই আপনার মধ্যে পরিস্ফুট আর রঙের ওপর রঙ ঢালিয়া ক্রমশ সকল রেখাচিত্র বিলুপ্ত করিয়া অস্ফুট চিত্ররূপের আলোকময় বিস্তারের যে শিল্পরীতি শেলির মধ্যে ছিল আপনিও তাহার অনুসারী, এইসকল বিদগ্ধ অনুসরণকে অবলম্বন করিয়া আমার মনে হয় সকল প্রভাব, প্রভাব বিস্তার করিতে সমর্থ হয় না, যাহা হয় তাহাই রবীন্দ্রনাথ নহে , বস্তুত এইসব তর্কাতর্কি পড়িতে ভালো লাগে, ইহা আমার সাধারণত্বকে আরোও তুচ্ছ করিয়া দেয়, তরুঘেরা গ্রাম হইতে উথ্থিত একাকী ধূমলেখার মতো আমার মনে হয়, পৃথিবীতে অহংকার শব্দটি বড়ই সরস ও কৌতুকময়। প্রকৃতপক্ষে আপনাকে আমার বলিবার কিছুই নাই, ইহা হলো নিতান্তই গল্প করিবার ছুতোমাত্র। যে গল্প করিবার জন্য দুজন প্রিয় মানুষের একটি আধার প্রয়োজন হয়, গল্প অমনি অশ্বথ্থ শাখার মতো ডালপালা বিস্তার করিয়া একটি আয়োজন গড়িয়া তোলে, ইহা অপেক্ষা সুখকর কিছু নাই। এই নিরন্তর অস্থিরতার মধ্যে একটি নিখাদ গল্প অবসর খুঁজিয়া লইতে মানুষের কত ছল করিতে হয় তাহাই মনে হইতেছে। মনে হইতেছে একটি কল্পিত ছায়ানুবাস খুঁজিয়া লইতে জগতের নারী পুরুষগন কাঞ্চনবর্ণ আগুন জ্বালাইয়া প্রমত্ত সন্ধ্যার অপেক্ষা করিতে করিতে মিশরীয় মমির মতো রাজকীয় হইয়া ওঠে, আর পৃথিবী বহিরঙ্গে স্খলিতকিংশুক সাথে উৎসবমুখরিত জনপদ রচনা করিতে মনপ্রাণ ঢালিয়া দেয়।
আজ রাখিলাম এইখানেই ,
ইতি চিরশ্রী।
© চিরশ্রী দেবনাথ
###############
জিও রবি বিন্দাস্
................
এই রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন যেন কবে থেকে শুরু হয়?
আরে শুরু হয়ে গেছে তো, পয়লা মে থেকেই, টিভিতে কিসব পক্ষ টক্ষ বলছিল
নাইনথ মে, নাইনথ মে, ওনার বার্থ ডে, তার আগে ভ্যানতারা, তা না না না
সেদিন শাড়ি পরছি আমরা, তোরা?
গান গাইব , আমি অঙ্কুশ, রেয়ন, সঞ্জনা, রেয়ন, মিঠিয়া
ছেলেরা সব সবুজ পাঞ্জাবি,
রেয়নের গার্লফ্রেন্ড ওতে রবির কবিতা লিখেছে রে, হেব্বি ঘ্যাম ব্যাপার।
সঞ্জনা কি গাইবি রে? ... রঞ্জনা আমি আর আসব না !! 😄
ধ্যুস, ফোট্, এসব নয়, ক্ল্যাসিকেল বেইসড রবীন্দ্র সঙ্গীত,
একটু কনটেম্পোরারি ভাব এনেছি ওতে, যা হিট করবে দেখিস
আমরা বলিব ওসাম, ওসাম,
এই শোন্, কাল গোলাপ আর রিমঝিমদের নাচ আছে না?
ওটাকে নৃত্যনাট্য বলে রে গাধা।
চিত্রাঙ্গদা। খুব ফেমাস।
ঐ যে আমরা স্কুলে একবার করেছিলাম যে, সেটা।
মহাভারতের ক্যারেক্টার ট্যারেক্টার নিয়ে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন,
মণিপুর ডিনেস্টির ব্যাপারস্যাপার ওতে এড করেছিলেন।
তবে শুনেছি মিক্সড করবে। আধা বেঙ্গলি আর আধা হিন্দি, ইংলিশেও কয়েকটা ভার্স করবে । না হলে নাকি ব্যাপারটা ঠিক জমে না। নন্ বেঙ্গলী স্টুডেন্টস দের কথা ভেবে ...
সব শেষ হলে আমরা খাবো কিন্তু। নতুন রেস্টুরেন্ট খুলেছে না একটা, ওতে, ওখানে নাকি দারুণ দম বিরিয়ানি করে।
তিনটে বাটিকের টপ আনাচ্ছি রে, জিনসের ওপর পরার জন্য।
সামান্য রাজস্থানি ফিউশন থাকছে ওগুলোতে।
নববর্ষ, লেখকটেখকদের জন্মদিনে ইদানিং পরলেই সবাই একটু টেরিয়ে তাকায়।
সঞ্জনা, চুলে ফুলের মালা লাগাস, নাহলে ব্যাপারটা ঠিক আসে না।
রবীন্দ্রনাথ কিন্তু দারুণ দারুণ গান লিখেছেন রে, মাঝে মাঝে আমি ব্যান্ডের গানে মধ্যে সুরগুলো একটু আধটু ঝেঁপে দিই, একটা উদাস ভাব আসে ...বেশ লাগে
ঠিক বলেছিস, তবে কবিতাগুলো একটু কেমন যেন, আই মিন, আসলে আমার তেমন পড়া হয়নি, ছোট্ট বেলায় শিখেছিলাম, তারপর তো বেঙ্গলি বাদ দিলাম
ওনার নভেল পড়েছিস?
আরে সেদিন সিনেমায় দেখলাম তো, ইউটিউব থেকে।
ঋতুপর্ণের মৃত্যুদিনে ফেবুতে একজন লিঙ্ক দিয়েছিল, ওখান থেকে একটু দেখে, পরে পুরোটা দেখেছি
চোখের বালি, ঋতুপর্ণ ঘোষ ডিরেক্টর, অ্যাশ্ কে যা ফাটাফাটি লাগছিল না, হোয়াইট শাড়িতে, ব্লাউজ ছাড়া
সিনেমাটা দারুণ কিন্তু
রবীন্দ্রনাথ বেশ ব্রেভ রাইটার ছিলেন, ঠিক কিনা বল্?
তা যা বলেছিস
ঐ দেখ তানিয়া যাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছিস রে শেষ বিকেলে।
আরে তোরা ! রিহাসার্ল আছে রে, ড্রামা করবো, টেগোরের পয়েমের ওপর
কি নাম পয়েমের?
বিদায় অভিশাপ, কচ আর দেবযানী দুটো ক্যারেক্টার
কি দেবযানী??
কচ .... কচ
দূর বাবা আমি ভাবলাম স্কচ্
তুই কি হয়েছিস ওতে
দেবযানীর পার্টে?
দুই একটা ডায়ালগ বল্ না, প্লিজ?
দাঁড়া শোনাচ্ছি,
"যেদিন প্রথম তুমি আসিলে হেথায়
কিশোর ব্রাহ্মণ, তরুণ অরুণ প্রায়
গৌরবর্ণ তনুখানি স্নিগ্ধদীপ্তি ঢালা,
পরিহিত পট্টবাস, অধরে নয়নে
প্রসন্ন সরল হাসি, হোথা পুষ্পবনে
দাঁড়ালে আসিয়া "
তনু মানে কি রে?
বডি বডি
অনেকগুলো শব্দের মানে বুঝলাম না, তবুও লাগল বেশ, বেস্ট অব লাক্ তানিয়া, কাল দেখতে যাবো, খুব একটা স্যাড স্যাড ব্যাপার আছে মনে হচ্ছে
আরে এটা তো সেপারেশনের পয়েম ই
মানে ডিভোর্স ইত্যাদি
দূর ওদের বিয়েই হয়নি
তাহলে? ব্রেক আপ্ বলছিস্?
দেখিস গিয়ে কাল, অভিশাপ দেবো আমি কচ কে , আর আমি কে জানিস? দৈত্যগুরুর মেয়ে
উনি ভালো আর্টিকল লিখতেন, সেদিন হোয়াটস্এপে কে যেন ঝেড়েছিল একটা অংশ বই থেকে ছবি তুলে,
পড়ে দেখলাম সত্যি কথাই বলছেন, সেকুলারিজম নিয়ে
লোকটা স্যোশালিজম, সেকুলারিজম নানান ফিলোসফি নিয়ে খুব বলে গেছে
পার্সোন্যালিটি টা দারুণ ছিল, আলখাল্লা টালখাল্লা, জাস্ট আলাদা সবার চাইতে ...
আরে জানিস
কাল একটা ফানি জিনিস দেখলাম, আমাদের কলেজে ঢোকার মুখে যে নাড়ুদার চায়ের দোকান, সে একটা কাগজ সেঁটেছে দেয়ালে, লেখা,
"বাকি চাহিয়া লজ্জা দেবেন না "
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
© চিরশ্রী দেবনাথ
0 মন্তব্য(গুলি):