দিরাং

৭:৫৫ PM চিরশ্রী দেবনাথ 0 Comments

   

অরুনাচল প্রদেশের মানুষেরা

 কামেঙ নদীর উচ্ছাস মেখে বলে

আমরা ইন্ডিয়া যাই মাঝে  মাঝে, দিল্লীও দেখেছি একবার

গৃহদেবতার কাছে ফিরে এসে প্রেয়ারের ঘন্টাটি বাজিয়ে দেয়, " ওঁ মণি পদ্মে হুম "

নিরাপদে এসেছি দিনের শেষে, হাতে তুলে নেয় উষ্ণ "রকশী "।

কাঠকুটো জ্বলে, উষ্ণতা তার গলায় গান আনে,  ভাষাটি ঈশ্বরের

শামিয়ানার মতো বরফ পড়ে ম্যাকমোহন লাইনে

"তাওয়াং "মঠে , আনি কন্যারা দেবগৃহ পরিস্কার করে
ঠান্ডা বাক্সে হাসিমুখে রাখা চিতল হরিণের ক্ষিপ্রতা

সেনা বাহিনীর ট্রাক চলে যায়,

"দিরাং "নদীই পথ দেখায়

ত্রস্ত করে জড়িয়ে রাখে বাহুডোরে সাহসী ছেলেকে

নদীর পাশ দিয়ে বয়ে যায়  সাবধানী রাস্তা

ইন্ডিয়া চেনায় গুম্ফাবাসীটিকে

এই বিশাল ভূখন্ডটির দিনরাত কি স্পর্শ করে

ঐ আধো অন্ধকার ঘরে থাকা

 পূর্বজন্ম মনে রাখা লামাকে

স্বাধীনতার কাছে তার কি দাবি বড়ো জানতে ইচ্ছে করে

যুদ্ধ তো সেও দেখে, নীরব পুঁথির প্রহরী

নোনতা চা গলার নীচে নামে,সমুদ্র দূরে...

তেরঙ্গা উড়ে কোথাও, সভ্রান্ত অজানা।

মনে মনে হয়তো বলে এ উচ্চতায় বড়ো শূন্যতা

" না পাখিডাকা সকাল ",যেন ম়ৃত্যু অপেক্ষায় সাদা

দেহচিন্হ ক্ষতের মতো, পুষে রাখা পুন্য

কর্পূর বৃক্ষের তলে জন্ম হবে, আবার স্তোত্র পাঠ

ঝরনায় আচ্ছন্ন এই আশ্চর্য গ্রামগুলোতে রঙীন হেমন্তযুবকদের ঘরবাড়ি ,

পাতা ঝরার আগে যেমন গাছে গাছে উৎসবের পোশাক

 তারা ইন্ডিয়াকে ভালোবেসে

টগবগে রক্ত দিয়ে আসে ঝকঝকে পেয়ালায়,  

বর্ডার কে শুধু সভ্যতার অসুখ বলে মনে হয়

 

     

0 মন্তব্য(গুলি):