স্মরণে উনিশে মে

৯:১০ AM চিরশ্রী দেবনাথ 0 Comments


আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল

লিখতে লাগলাম, লিখতে লিখতে

গলিতে সন্ধ্যা নামল, দিকচিহ্নহীন পাগলের চোখের মতো !

জ্বলে উঠল মোড়ের মাথার নিওনবাতি

আবছা আলোয় রাস্তার ধুলোতে অক্ষরের সবল শরীর,

তারা বলতে লাগল এক উদ্বাস্তু পুরুষের কথা

যাকে ছুঁয়ে ছিল নারী, শিশু, বৃদ্ধের দল

অদ্ভুত এক কীর্তনের সুর যেন পাখির ডুুুবন্ত শিষ

সেসব লেখায় মিশে যেতে লাগল নক্ষত্রের ভালোবাসাবাসি

পাশে বয়ে চলা দুগ্ধনদী, সফেন অন্ধকারে ধোঁঁয়া ওঠা অমৃত অথবা বিষের হাতছানি,

নিশিপাওয়া যুবক যুবতীরা বলছে, হেসে কেঁদে শুধু বলে যাচ্ছে,

...হৃদয়ের সকল ভাষা অশ্রুমতী  হও।

ভাষা কেড়ে নিলে কি হয়!

আগাছার মতো দুর্বল এক অনুচ্চ প্রজাতি জমি স্পর্শ করে থাকে

চাষ হয় না...আবাদ হয়,

হাজার কীটের দংশনে শুয়ে থাকে বাটুল সংস্কৃতি।

ভাষায় যেন না লিখি অক্ষমের  প্রতিবাদ, গালাগাল, খিস্তি।

শুধু ময়ূরীর রঙে আঁকা অভিমান পড়ে থাক, হলকা মেঘস্তুপ,

আমিও ঘুম থেকে ক্রমাগত আচ্ছন্নতা সরিয়ে নিচ্ছি,

অস্ফুট সকাল গাইছে  তাজা  মেঘমল্লার।

বিশ্বাসঘাতকতা দেহচরাচরে, অন্তরে এই মাত্র খুুুন হলো দুই এক বিন্দু আমি

তবে কি ক্ষমা চাইবো?

নিজের ভেতর হতাশায় ম্লান দুরন্ত সম্রাজ্ঞী।

অকাল বৃৃৃদ্ধা । হারিয়েছে মুক্তো হার।  সাহসের লকেট।

এবার ক্যানভাসে দীপালোক, জ্বলছে কালির দাগ।

গ্রীষ্ম অনাকাঙ্ক্ষিত । বর্ষা নিভছে।

হেমন্ত আমার প্রিয় যোদ্ধা।

মৃদু শীতে পাড়ি দেবো কয়েক ক্রোশ,  মুঠোতে কুয়াশা।

ছড়াবো না।

আগে ঝরে পড়ুক ভাষার সকল অভিমান।

উদ্ধত সিংহাসন হোক একটি একটি মাতৃভাষার।

নিরাপদ রাজ্যপাট, হাজার একর জমিতে সোনালী ধান।

0 মন্তব্য(গুলি):