সর্বজনীন দুর্গাপূজা
সর্বজনীন দুর্গাপূজার তারুণ্য হীনতার প্রধান কারন হচ্ছে বাড়ীর পড়াশোনায় অমনোযোগী, অবাধ্য, এঁচোড়ে পাকা, বাবার বকা খাওয়া, সেই তিন নম্বর হ্যান্ করেঙ্গে ত্যান্ করেঙ্গে ছেলেটির অনিবার্য অনুপস্হিতি! কোথায় সে আজ! এতোদিন ধরে যে শুধু শুনে এসেছে কাজ নেই তাই দুর্গাপূজা র নামে দুপাইস কামিয়ে নিচ্ছে। আমার ছোটবেলায় দুর্গা পূজো মানেই একমাস আগে থেকে সদ্য তরুণ ছেলেদের একটি বিরাট দল, যারা বাড়ি বাড়ি চাঁদা
তুলতে আসে, দরজার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারবে
দুই বিনুনী বাঁধা কিশোরী কন্যাটি, যার সঙ্গে অষ্টমীর অঞ্জলীতে দেখা হবে।
এবার বাড়ীতে চাঁদা তুলতে এসেছে দুজন বা তিনজনের ক্লান্ত একটি দল, যাদের চোখে একটি
দায়বদ্ধতা, হয়তো সত্যিই সেইদিন আর দেরী নয়
যখন সর্বজনীন পূজো একটি লাভদায়ক ব্যবসায় পরিনত হবে।
আর আমাদের পরিচিত সর্বজনীন গেলো গেলো রব, যা কিছু চলে যাওয়ার পর আমরা বুঝতে পারি।
সত্যিই তো সেই টুয়েন্টির তরুনের এখন অনেক ব্যস্ততা, তাকে যে করেই হোক প্রতিযোগিতায় টিকে
থাকতে হবে, আর মোবাইলের মধুর সঙ্গ ফেলে
রোদ মেখে বাড়ি বাড়ি যাওয়ার তার কি দরকার!
সুইট সিক্সটিনটিও যে আজ বড় হিসেবী, পড়ায় কম ভালো ছেলের দিকে চাইতে তার বয়েই গেছে, কে নিশ্চিত বড় চাকরী করবে তা এখন থেকেই সে বুঝতে পারে।
অতএব কাশফুল ফুটবে হয়তো আরো অনেকদিন,শ্বাস ফেলে বইবে শুকিয়ে যাওয়া হেমন্ত নদীও, দুর্গাপূজাও হবে জাঁকজমকের সঙ্গে, শুধু
সর্বজনীন শব্দটির একটি নিয়ারেস্ট মিনিং আসবে
সর্বজনীন ব্যবসা।
ভীড়ে ভর্তি প্যান্ডলে থাকবে না দুইটি পিপাসিত বাউন্ডুলে চোখ সদ্য শিউলি ভেজা একটি নিঃস্বার্থ
শারদীয় কৈশোরের জন্য।
সবাইকে আন্তরিক শারদ শুভেচ্ছা।
0 মন্তব্য(গুলি):