বিশ্বাসের কাছে নতজানু, চিরশ্রী দেবনাথ

৯:২৬ PM চিরশ্রী দেবনাথ 0 Comments

বইের নাম, 


বিশ্বাসের কাছে নতজানু

 



চিরশ্রী দেবনাথ 





প্রিয় দোয়েল পাখি 


 বার বার পাসওয়ার্ড ভুলে যাই সবকিছুর

 কত জায়গায় লিখে লিখে রাখি তাদের, 

তারপর লিখে রাখা জায়গা গুলোও হারিয়ে যায়

গুরুত্বপূর্ণ কিছু জিজ্ঞেস করলে, 

দোয়েল পাখির নাম মনে করার চেষ্টা করি, 

কালই দেখেছি পাখিটিকে, দিনের শেষে কথা হয়েছিল

তাদের বাসাও আজ নিলামে উঠেছে, 

কিচির মিচির আর উড়ান নিয়ে চলে যেতে চাইছে আশ্বিনের গ্রহ























যৌনতা নয়   



কোথাও খুব চিৎকার, যুক্তি তর্ক হলে

আমি সরে আসি, খুব বোগাস কোন সিনেমা দেখি

দেখি নায়িকার ব্লাউজ খুলছে নায়ক

কাছেই হয়তো ছিল ক্যামেরা  ম্যান 

মোট কতজন লোক দেখছিল সেই ব্লাউজ খোলার দৃশ্য আসলে আমি সহ তা পেরিয়ে গেছে হয়তো কয়েক লক্ষ    

এনামেলের হাঁড়িতে ভাত ফুটছে, 

কোথাও এভাবেই খুলে যাচ্ছে রাতপোশাক বুদ্ধের ভঙ্গীতে, 

তুমি যা ভাবছো, তা কিন্তু  নয়, 

হয়তো সব মিলিয়ে পৃথিবীতে এখন গ্রীষ্মের ছুটি শুরু হয়েছে

ছেলেরা বাড়ি ফিরতে ফিরতে কিশোরীদের ঢেকে দিচ্ছে হৃদয় উপচানো রোদে

এতো স্বাভাবিক সবকিছু, যেন কোথাও কোন জন্ম নেই, শুধু বেঁচে থাকছে পুরনো মানুষেরা





কৃষিজমিন 



যে তরুণীর গোড়ালি খুব লাল আর মসৃণ, তার সঙ্গেই  বিয়ে হবে রাজার, 

প্রচারিত হয়েছিল রাজপথে ও গ্রামে গ্রামে। 

পিতা নিজের রক্ত দিয়ে মুছে দিয়েছিলেন মেয়ের গোড়ালি, 

মুখ ঢাকা মেয়েরা বসেছিল সারি সারি... গোড়ালি দেখিয়ে ।     

রাজা এলেন।  ধুলোমাখা, ঘাস লেগে থাকা এক মেয়েকে

নিলেন ঘোড়ার পিঠে তুলে,

 সবাই সোজা উঠে দাঁড়ালো, মানে গোলাপী গোড়ালির    মেয়েরা !  

কি হলো এটা? 

রাজা কৃষকের মেয়েকে নিলেন ঘোড়ার পিঠে ! ছিঃ ছিঃ! 

 যদিও গল্প, তাও রূপকথার। 

তবু মনে হয়, আমাদের ছেলেরাও একদিন তুলে নিয়ে যাবে সব ফাটা গোড়ালির মেয়েদের,

আচ্ছন্ন শীতে সেই মেয়েরা বিবাহ তুলে দেবে ছেলেদের হাতে। 










ব্ল্যাকবোর্ড 



অবশেষে বর্ম খুলে ফেলেছিলাম

একেই বলে আকুল হওয়া, হয়তো ভরা কদম, চূর্ণ হওয়া, 

ফিরে আসতে গিয়ে দেখি... পারি না

শীতের রোদ সারসের মতো পা ফেলে ফেলে খুৃঁজে নিচ্ছে সন্ধিস্থল, 

বরফ পড়েছে সর্বত্র। হলুদ ঘাসেরা নীচে, উটের মতো বোরিং চাহনি বিকেলের। 

ছাত্রদের মুখগুলো দেখি।

একদিন বললাম, শোনো এই হলো " বিশ্বায়ন  "। 



"জেনে কি লাভ অর্থনীতি ! আমরা তো ব্যবসা করবো ম্যাডাম ",

কিছু ট্যাক্স ফাঁকি, কিছু জবানবন্দি মিথ্যা, ওতে কিছু হয় না।  

ওতে কিছু হয় না ! বলো কি? 

হঠাৎ কেউ চলে গেলে সত্যিই কি কিছু হয় না !  

 লেখা হচ্ছিল না, তিনদিন।

ভাবলাম তবে শেষ, মনে হলো আমার পাশে ব্রহ্মপুত্র নদ। সন্ন্যাসীর পোশাক, নির্বিকার।

দূর থেকে দেখেছিলাম কোনোদিন নীলাচল, ঠান্ডার ঝাপট।

শিরশির করছিল দাঁত, নখ, সাদা কার্ডিগান।

 বাইরে ছেয়ে আছে কাশ্মীরী শালের মতো ওম দেওয়া আড্ডা,

তারা কি নেবে আমাকে, দু এক দানা আগুন জ্বলতে শুরু করেছে, 

আমি কি যাবো আসলে?

আসলে কি আমি যেতে চাই?

আমি কি কোন আড্ডার কথা তোমাকে ছাড়া ভাবতে পেরেছি?

তুমি কি কখনো ছিলে আমার সেসব ব্যক্তিগত, বোকা আড্ডায়

যেখানে মেধা পুড়েনি, ক্লাসিক্যালের সুর আসেনি? 

দৈনিক সংবাদ অযথা বকবক করে গেছে, 

রেগার টাকা, শীতের কম্বল, ধর্ষণ,  বি পি এল কার্ড, পেঁয়াজের দাম ইত্যাদি, ইত্যাদি।

টিভিতে ধীরে ধীরে পনেরহাজার কৃষকের মৃত্যু, কি অসাধারণ বিশ্লেষণ।

শুনেছি।

শুনিনি। 

আসলে কারো সঙ্গেই আমি কখনো ছিলাম না। 

একা একা অবাধ্য হয়ে চুপচাপ থাকি, হিম জমা করাই আমার কাজ, উষ্ণতার দিনগুলোতেও কখনো বা সবসময়।  








একান্তে


একজন কবি ২০১৯ এর

ফেসবুকে নেই, একা গাছ... হেমন্তের

সমস্ত পাতা জড়ো করে রেখেছে বুকে

ঝরতে দেবে না, দেবে না কোনদিন

ঝরে গেলে, পুড়ে যায়

এভাবে নিজেকে কত পোড়াবে গাছ?


সে কিছু রাখেনি নিজের জন্য 

বই , মাইক , মঞ্চ , এমন কি  হাহাকার 

শুধু পাতা আঁকড়ে শীত সহ্য করে, 

নিঝুম রাতে জ্যোৎস্নার আরতি তাকে তান্ত্রিক করেছে ...




গজল    


কেউ অন্যকিছু লিখে দিতে বললে


আমি শুধু বলি, প্লিজ কবিতা ছাড়া কিছু লিখছি না    


দেখাও কোথায় কবিতা


চোখ বন্ধ করি, মিথ্যে কল্পনা করছিলাম , সবল পংক্তিগুচ্ছ

নেই

ধুলো মাটি আলতো মেঘ ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাচ্ছি  


ভালোবাসায় ছিলাম বলে কিছু লেখা হয়নি, লেখা যায়নি


সময় লাগবে, অনেক সময়, এই বিজন স্রোত বয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে একা, কেন যে জানি না ...














নীল স্পর্শক 


আমার এই সমস্ত না পাওয়া, তিন চারটে ফোঁস ফোঁস

হরতাল, একা রাস্তা, ছেড়ে যাওয়া হাত


চিলের মতো গর্বিত ডানা তাদের

আগলে রাখে সবসময় ধূসরতার নীচে


মনে হয় পালাচ্ছো, মনে হয় ভুলে গেছো

আসলে শীতকাল আমার সব যাওয়া আসার ডাইরি


লিখতে লিখতে নিজে থেকেই মুছে যায় লাইনগুলো

যদি দেখে ফেলে জলন্ত দেশ, প্রতিবাদী জনতা, 

অথবা স্বার্থপর আমাকে। 



হলুদ রঙের ঝুমঝুমি 


নতুন কিছু, লেখা হয়নি অনেকদিন

মনে হয় হয়তো পাড়া থেকে হারিয়ে গেছে সমস্ত কিশোর আর

তাই আমিও হারিয়ে ফেলেছি রাধাভাব

সীমান্ত থেকে শহীদ হওয়ার খবর আসে ...ভালোবাসার দিনে

কিন্তু যে সংবাদ কোথাও পড়া হয়নি, তা হলো 

বসন্তে জন্ম নেওয়া সেদিনের সমস্ত পাখির দল  বোবা ও জন্মান্ধ 

তাই খুব তাড়াতাড়ি  গ্রীষ্মকালীন নিস্তব্ধতা সমাগত,

 এই পলাশ, শিমুলের দিনে, ক্ষীণ মাঘীপূর্নিমায় 

 কয়েকটি বিষাদময় পর্বতশিখর,  বৃক্ষরাজি এখনও  মাথা নত করে আছে  

কিন্তু এতো মৃত্যু আর প্রতিবন্ধী সংবাদের  পরও

আমি রাতের বেলা মাংস কষিয়েছিলাম

পেঁয়াজ, কাঁচালঙ্কা ছেঁচা গন্ধ, মাংসের গা থেকে চুঁইয়ে পড়া সর্ষে তেলে গমগম করছিল ভেতর

হৃদয়েও জব্বর  গোলাগুলি হয়, আর ডি এক্স বি়স্ফোরণ যখন তখন

এইসব শব্দ শুনতে পায় আমার প্রয়াত মা বাবা 

মৃত্যুর পর তাঁরা নিষ্ঠুর হয়ে গেছে, আদর করে না

অথচ আমি রোজদিন কিশোরী হয়ে যাচ্ছি একটু একটু করে

মনে হয়, আমার বয়ঃসন্ধিতে দাঁড়াবে এখন নতুন কেউ 

তার মুখে বিকেল ঘনিয়ে আসা জঙ্গলের নির্জন ছায়া  

মনে হয়, আমি  সেই পৃথিবীতে শ্বাস নিচ্ছি, যেখানে কোনদিন যুদ্ধ হয়নি 

তারপর আমি আরো ছোট হবো, আমার হাতে ঝুমঝুমি ধরিয়ে দেবে কেউ, আমি রাজারাণীর গল্প শুনতে চাইবো

তখন সবাই বুঝে যাবে, যাক্ একে নিয়ে আর ভয় নেই ! 




বিশ্বাসের কাছে নতজানু


এখন রাত নেমে আসছে খুব সাধারণভাবে 

ঠিক যেমন ঈদের রাতে মুসলমানের বারান্দায় বেড়াতে আসে চাঁদ

ঠিক যেমন আমি হালকা করে বললাম "এসো "

অথচ কাকে বললাম  আসতে জানি না ঠিক


সে হতে পারে " চাঙ্গা অর্থনীতি " কিংবা "জাতীয় সংহতি"


আজকাল আমি প্রায়ই চুপচাপ করজোড়ে বলতে থাকি


"এসো এসো এসো "


বিশ্বাস করি তখন কিছু আসে, 



সে হতে পারে মরুভূমি অরণ্য হয়ে যাওয়ার খবর অথবা

ডিপ্রেশন কাটিয়ে ওঠা দুজন মানুষ ...




বৈভব


সত্যি বলো তো কি চেয়েছিলে ,

ডানা গুটিয়ে এনে অস্থায়ী কোন আশ্রয়? 

চুম্বন? 

ভালোবাসা?

একসঙ্গে কিছু কাল কথা বিনিময়?

আসলে কি সে সুখ?

জানো না !

আমি জানতাম।

আমি জানি মফস্বল শহরে কোথাও প্রবল স্নেহে শেষবিকেলে রান্না হয়,

 তখন একমুঠো সুখ রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ সে বাড়িতে ঢুকে পড়ে  ...












কৃষ্ণা



সব তোলপাড় হয়ে গেলে, 

 মানুষ কি করে নিজেকে গুছিয়ে নেয় আবার? 

জানা আছে তো নিশ্চয়ই কোন বিধ্বস্ত মানুষের?


তার কাছে যেতে চাই

হয়তো লোকটির মাথার চুলগুলো ধূপগাছের মতো জ্বলছে গ্রীষ্মের দুপুরে, 

ওর চোখ জ্বালা করা, বুকে মোচর দেওয়া, গলার কাছে দলা পাকিয়ে ওঠা শক্ত ডেলা

সবকিছুই কি সে আমার মতো গিলে ফেলে

তার ছোট্ট মেয়ে কি তাকেও জিজ্ঞেস করে, 

তোমাকে কোনদিন কাঁদতে দেখিনি কেন?

আকাশে অনেক মেঘ, ছাতা নিয়ে যাও, 

বলতে বলতে আমি সবকিছুর  অনুবাদ করি

রবীন্দ্রনাথের কাছ থেকেই শেখা এসব ফাঁকিবাজি। 





বড়দিন  


ধানসিড়ি নদীটি, সে জীবনানন্দের নয়, নাগাকন্যা, 

 পাহাড়ী বাঁক, লাইসাং থেকে চোখ  মেরেছে  ব্রহ্মপুত্রের  দিকে

দুপাশে  তরুণী হাত, অভয়া অরণ্য জাপটে আছে,  

তুমুল ক্যাটলিয়ার সমারোহ, 

রঙে রঙে খুন হয়ে গেছে ধানসিড়ির জল, ঘোলা জলে ডুবে গেছে ফুলের ছায়া

নদীপ্রবাহের পাশে কাঠ চেরাইের মিল, জলে গাছের শব    

পঁচিশে ডিসেম্বরের সপ্তাহে তিনটে স্টার সারারাত ধরে জ্বলতে থাকে  

শুয়োরের মাংস, কোয়াস সেদ্ধ, নাগা মরিচের ঝালে

বনের জিহ্বায়  স্বাদ ফিরে আসুক, বীজমন্ত, উর্বরা বৃক্ষমেয়ে...

প্রসব ক্ষমতা অনন্ত হোক তাদের, 

যীশুর কাছে বহতা নদীর আর কিছু চাওয়ার নেই, শুধু এই, এইমাত্র ...




( ধানসিড়ি, ভারতের নাগাল্যান্ডের একটি নদী, লাইসাং তার উৎপত্তিস্থল, ব্রহ্মপুত্র নদের সঙ্গে মিলিত হয়েছে)  






বীতশোক


উদ্বৃত্ত তো হয়েছি কবেই

তাই চারপাশ থেকে অহংকার কুড়িয়ে এনে বালির পাহাড় বানিয়ে রাখি

সম্মান কমে গেলে যেমন ডেকে ডেকে উত্তরীয় দেখাই


কিন্তু ভালোবাসা সরে গেলে 

মানুষ শিল্পী হতে পারে অনায়াসে 


চলে যেও তুমি তাই নির্বিকারে,

 পাঁচটা বাজতে আর কত বাকি?



ভেন্টিলেটার দিয়ে ঢুকে পড়ছে একান্ত চোরাআলোগলি ! 


ধুলো ঝাড়ার সময় কই,  ম্যাগাজিন থেকে পুরনো কবিদের কবিতা পড়ি 

আশ্চর্য দেখি তারা চেনা যুবকের মতোই, স্পর্ধা আছে, কাম, ক্রোধ সবই 

গভীর  হতাশার কথা রবিবার সকালে  লিখতে লিখতে, 

 তারাও লিখেছেন বীতশ্রদ্ধ পৃথিবীবাসের লঘু দুঃখ, বিষাদ ইত্যাদি ইত্যাদি।




বেহালাবাদক 

...................

তাহলে মাঝখান থেকে শুরু করি

রোজা ভেঙে গেলে যেমন বরবাদ মনে হয় দিন 

ধর্মগ্রন্থ পড়া হয় না, অনেকেরই আজকাল

শুধু তার গন্ধটুকু নেয়, কখনো ধূপ, কখনো আতর

ছায়ায় ছায়ায় মারাত্মক যুদ্ধ

হিন্দুস্থান জিতে যাচ্ছে, আসমুদ্র হিমাচল গর্জমান...নতজানু

কি করে যেন বহতা নদী দিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে বানানো গল্প,

অন্ধত্বের অক্ষর সুনির্বাচিত। 

 বসন্ত মরসুমে, 

কবিতায় প্রতিবাদ হারিয়ে গেলে, জেগে ওঠো শ্লোগান

শ্লোগান হারিয়ে গেলে, আগুনের কাছে জখম নাও 

তারপর বাকি থাকে চিৎকার, রুচিহীন চিৎকার ...


তবে কি তাই হবে আগুনওয়ালা, বাঁশীওয়ালা ?


... ও বেহালাবাদক বলো না? 











 



লেখক পরিচিতি





.... চিরশ্রী দেবনাথের, জন্ম1979 এর 12 ফেব্রুয়ারি উত্তরপূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাসহর নামের একটি ছোট শহরে। বাবা রাধাগোবিন্দ মজুমদার সংস্কৃতের অধ্যাপক ছিলেন এবং মা মায়ারাণী মজুমদার।  দুজনেই প্রয়াত।  তিনি আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত শাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং প্রথম বিভাগে দ্বিতীয় স্হান অধিকার করেন। ছোটবেলা থেকেই লিখতে ভালবাসেন, ছোটগল্প, কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি।  বিভিন্ন লিটিল ম্যাগাজিনে ও দৈনিক পত্রিকায় নিয়মিত লিখেন। পেয়েছেন ত্রিপুরা সরকারের অদ্বৈত মল্লবর্মণ ছোট গল্প প্রথম পুরস্কার, স্রোত সাহিত্য প্রকাশনার ছোটগল্প পুরস্কার, ত্রিপুরা সরকার তথ্য আয়োগ দপ্তর কর্তৃক আয়োজিত প্রবন্ধ  প্রতিযোগিতায় প্রথম  পুরস্কার। তার লেখা  অনুগল্প, "আনন্দবাজার স্কুলে "তে প্রকাশিত হয়েছে। এখনো কোন গল্প সংকলন প্রকাশিত হয়নি। ছয়টি কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছে। যথাক্রমে, "জলবিকেলে মেঘের ছায়া ", "ঋতুক্ষরণের রোদচশমায় ", "প্রেমে সন্ত্রাসে ",  "শুভ দ্বিপ্রহর ", "ঝাউবন ও জ্যামিতি বাক্স "    "উড়িয়ে দিও "। একটি গল্প সংকলন, "মায়ারাণী "।

২০১৯ এ, সুমিত্রা কর তরুণ লেখক সম্মান পেয়েছেন। 

 "কীর্ণকাল "নামে একটি লিটিল ম্যাগাজিন যৌথভাবে সম্পাদনা করছেন চার বছর ধরে। 

কবিতা ভালবাসেন তাই লিখে যেতে চান। কবিতায় নিজের কথা, মেয়েদের কথা বলতে ভালবাসেন।

















ঠিকানা

.........

চিরশ্রী দেবনাথ

প্রযত্নে ...অরূপ দেবনাথ

"কাজরী ",নেতাজী রোড

ধর্মনগর, উত্তরত্রিপুরা

পিন...799250

Mobile...9402143011




0 মন্তব্য(গুলি):