তারুণ্যের প্রতীক স্বামী বিবেকানন্দ, চিরশ্রী দেবনাথ

৯:৩৭ AM চিরশ্রী দেবনাথ 0 Comments



হে সন্ন্যাসী, হে চির তরুণ



    

১২ ই জানুয়ারি  স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনের দিন, টিভির নিউজ দেখছিলাম, একটি জনপ্রিয় টি ভি চ্যানেলের সাংবাদিক কিছু  টিন এজ ছেলেমেয়েদের কে স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে ছোট ছোট প্রশ্ন করছিলেন। তারা একবিংশ শতকের তারুণ্য। প্রত্যেকের হাতেই স্মার্ট ফোন। টগবগ করে ফুটছে যেন। কিন্তু ঠিক সেইমুহূর্তে সেখানে জড়ো হওয়া ঐ ছেলেমেয়েগুলোর মধ্যে সকলেই স্বামী বিবেকানন্দ সম্পর্কে এমন সব কথা বললেন, যাতে বোঝা গেলো এ মানুষটির নামটিও তারা ভালো করে শোনেননি। তারা জানেনই না পরাধীন, আত্মবিশ্বাসহীন ভারতভূমিতে এই তীব্র তেজস্ক্রিয় উল্কাপিণ্ডটির অস্তিত্ব। যার তেজস্ক্রিয় বিকিরণ আজকের ভারতবর্ষে অবদমিত শক্তির মতোই ঢুকে পড়ছে কোথাও না কোথাও।

স্বামী বিবেকানন্দ যুবসমাজের প্রতীক । তার জন্মদিনেই    পালিত হয় আমাদের  জাতীয় যুবদিবস। যুব সমাজের প্রতি স্বামীজীর আহ্বান, তাঁর অগ্নিগর্ভ বাণী, তাঁর দিকনির্দেশ, ইচ্ছা, উপদেশ ও কর্তব্য এসব নিয়ে  অসংখ্য প্রবন্ধ লেখা হয়েছে। যার প্রাসঙ্গিকতা সময়ের সঙ্গে বদলে গেছে বার বার, কিন্তু কখনোই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যায়নি। 



"আমি চাই এমন লোক, যাদের পেশীসমূহ লৌহের ন্যায় দৃঢ় ও    স্নায়ু ইস্পাত নির্মিত, আর তার মধ্যে থাকবে এমন একটি মন, যা বজ্রের উপাদানে গঠিত। বীর্য, মনুষ্যত্ব, ক্ষাত্রবীর্য, ব্রহ্মতেজ।"


 এখন এইরূপ লৌহদৃঢ়, ইস্পাত নির্মিত, বীর্যবান যুবকগন কোথায়?  

আর "মনুষ্যত্ব " সে একটি সংশয়মাত্র। 

তা কীভাবে এখনকার যুবকদের মধ্যে কী দেখে প্রজ্জ্বলিত হবে সেটাও প্রশ্নবোধক। বিশেষত বর্তমান ভারতে সেইরকম কোন মহাত্মা কোথায়। অধিকাংশ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব গন সুবিধাভোগী, মিথ্যেবাদী, ক্ষমতালোভী।  বাকিরা দুর্বল, সবলের চাপে পড়ে সারাক্ষণ মিনমিন করেন, মেরুদণ্ডহীন।  বুদ্ধিজীবিগণ ক্ষমতালোভীগনকে লেহন করে চলতে অভ্যস্ত। সুতরাং  তাদের নিরপেক্ষতা গুণ বিলুপ্ত হয়েছে প্রায়। কোন দীপ্যমান সাধুসন্ন্যাসীদের বদলে এখন অর্থবান একদল বাবাসমাজের দেখা মেলে, যারা নারীলোলুপ এবং  যাদের কাছ থেকে কুসংস্কার ছাড়া  কিছুই শেখার নেই।

তাই প্রথমেই যুবসমাজ তার সামনে বড় হয়ে ওঠা কোন মহৎ আদর্শকে দেখছে না, যাকে দেখে গর্ব করে সে বলতে পারে আমি ওনার মতো হবো। অতএব পেছনে যেতে হবে, যেতে হবে সেই চির যুবক সন্ন্যাসীর কাছে। যার স্বপ্ন ছিল একটি দারিদ্র্যমুক্ত, কুসংস্কারমুক্ত, আত্মবিশ্বাসী ভারত। যে ভারত গঠন করবে মাতৃভক্ত যুবকের দল। এখানে মাতৃভক্ত শব্দটি ইচ্ছে করে প্রযুক্ত হয়েছে। মাতৃভক্ত বলতে নিজের মা এবং দেশমাতৃকা উভয়কেই বোঝানো হয়েছে। কারণ মাতৃভক্তির অভাবটাই আজকাল যথার্থরূপে ফুটে উঠছে সর্বত্র তা দেশ 

মা ই হোক আর নিজের মা ই হোক।

তিনি তখন একটি কথা বলেছিলেন যা এখনও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো, "আগামী পঞ্চাশ বৎসর আমাদের গরীয়সী ভারতমাতাই আমাদের আরাধ্য দেবতা হউন, অন্যান্য অকেজো দেবতা এই কয়েক বৎসর ভুলিলে কোন ক্ষতি নাই। অন্যান্য দেবতারা ঘুমাইতেছেন, তোমার স্বজাতি এই দেবতাই একমাত্র জাগ্রত ; "

সেই পঞ্চাশ বছর বহু আগেই পেরিয়ে এসেছি আমরা। কিন্তু আমাদের মাতৃভূমি এখনও এই আসমুদ্র বিষাদময়তা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। বরং দিনের পর দিন তার যুবক সন্তানদের মধ্যে একটি অন্ধকার বিকারময়তা ছড়িয়ে পড়ছে। স্বাধীন ভারতবর্ষের অজস্র প্রতিশ্রুতিবান মেধাবী তরুণদল তাদের বিদ্যালাভ শেষে উপযুক্ত কাজের সন্ধান পাচ্ছে না। তবে কি আমাদের চিরাচরিত শিক্ষা ব্যবস্থা একটি কর্মবিমুখ, অলস জাতির জন্ম দিয়েছে? তারা কি নিজেরা বড়ো কোন কিছু গঠন করার পরিকল্পনা করতে পারে না ?

স্বামী বিবেকানন্দ শুধু একশ জন যুবক চেয়েছিলেন যারা বদলে দিতে পারে সবকিছু, কিন্তু আজকের বিলিয়ন বিলিয়ন যুবক এই স্বামীজীকে খুব কম জেনেছেন।

বর্তমানে ভারতের যুবক দলের মধ্যে কয়েকটি ভাগ। একদল অন্ধ, উগ্র হিন্দুত্ববাদের সমর্থক। আর এক দলও অন্ধ, তাদের কাছে হিন্দুত্ব এক  ঘৃণ্য  চেতনা। প্রকৃতপক্ষে  এই দুটো মতবাদই জাতির পক্ষে, দেশের পক্ষে কল্যানদায়ক নয়। আর একটি দল আছে স্বার্থপর, কেরিয়ার সর্বস্ব কিংবা ভার্চুয়ালবাসী। 

বিবেকানন্দ বলেছিলেন,  "যে নিজেকে বিশ্বাস করে না, সেই নাস্তিক, প্রাচীন ধর্ম বলিত যে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে না, সে নাস্তিক। নূতন ধর্ম বলিতেছে যে নিজেকে বিশ্বাস করে না সেই নাস্তিক। " 

অতএব আজকের কিছু যুবকের নাস্তিকতাবাদ যে কতটা ঠুনকো, তা এই যুগঅতিক্রমকারী দার্শনিক খুব অল্পকথায় সেই সময়ের সদ্য পাশ্চাত্য জ্ঞানপ্রাপ্ত আধুনিক যুবকদের বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, যা দেড়শো বছর পরেও সমানভাবে আমাদের ভাবনাকে নাড়িয়ে দিতে পারে। 

যুবকদের প্রতি তাঁর একান্ত বক্তব্য, তারা যেন সবল হয়, শক্তিই জীবন আর দুর্বলতাই মৃত্যু। কেবল খেয়ে পরে মুর্খের মতো জীবন যাপন অপেক্ষা মৃত্যু অনেক বেশী শ্রেয়।

কিন্তু ভারতের এই বিশাল যুবক দলের সামনে  কী পথ, যা তাদের আত্মত্যাগের আনন্দ দেবে । এখন ভারতবর্ষে আর ইংরেজের শাসন নেই, তাই ব্রিটিশ অপশাসনের বিরুদ্ধে যে লড়াই, সেটা আর করতে হবে না, সত্তর বছর অতিক্রান্ত হয়েছে ভারতের স্বাধীনতা লাভের। কিন্তু ভারত আজও বহুক্ষেত্রেই উন্নত রাষ্ট্রগুলো থেকে পশ্চাৎপদ।  জনসংখ্যার অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি ভারতকে দিয়েছে তীব্র বেকারত্ব। একবিংশ শতকেও দেশের অধিকাংশ জায়গাই ন্যূনতম চিকিৎসা ব্যবস্থা হতে বঞ্চিত, শিক্ষার আলোও সর্বত্র উজ্জ্বল ভাবে উপস্থিত নয়, আর প্রকৃত শিক্ষা ! সে হতে তো বঞ্চিত আধুনিক শিশুগণ, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।

তাহলে তো সামনে অনন্ত কাজ। সব কাজই পরার্থে।

স্বামীজী যুবকদের উদ্দেশ্যে বলতেন, "আমার কাজের ধারা হচ্ছে গড়ে তোলা যা আছে সেটাকে ভাঙা নয়। জগতের ইতিহাস পড়ে দেখ্, এক একজন মহাপুরুষ এক একটা সময়ে এক একটা দেশে যেন কেন্দ্রস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন। তাঁদের ভাবে অভিভূত হয়ে শতসহস্র লোক জগতের হিতসাধন করে গেছে। তোরা সব বুদ্ধিমান্ ছেলে, হেথায় এতদিন আসছিস ! কি করলি বল্ দিকিন? পরার্থে একটা জন্ম দিতে পারলিনি? আবার জন্মে এসে তখন বেদ বেদান্ত পড়বি। এবার পরসেবায় দেহটা দিয়ে যা, তবে জানবো আমার কাছে আসা সার্থক হয়েছে। ...জীবে জীবে তিনি অধিষ্ঠান হয়ে আছেন ; তা ছাড়া ঈশ্বর ফিশ্বর কিছুই আর নেই। ...জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। "

এখনের আত্মসর্বস্ব, পরমুখাপেক্ষী আধুনিক যুবকদের কাছে এই আহ্বানটি পৌঁছে দিতে হলেও স্বামীজীর মতো কোন মানুষ দরকার।

একজন চুরান্ত বাস্তববাদী সন্নাসী, যিনি গেরুয়া পরে বলছেন, ঈশ্বর ফিশ্বর বলে কিছু নেই, যিনি যুবকদের বলছেন এই দেশ সুজলা সুফলা শস্যশ্যামলা। এখানে কারো কোন খাদ্যাভাব হওয়ার কথা নয়। অথচ সকল যুবক একটি চাকরির সন্ধানে ব্যস্ত। দাসত্বলোভী। অলস। অথচ তারা পরিশ্রম করলেই গড়ে তুলতে পারে এক অন্যভুবন, যেখানে আরোও অনেকে বেঁচে থাকার উৎস খুঁজে পাবে। 

তিনি কোনরকম নেগেটিভিটিতে বিশ্বাস করতেন না।  physical, mental, spiritual সকল ব্যাপারেই মানুষকে positive idea দিতে হবে। পারস্পরিক ঘেন্না মানুষের অধঃপতনের কারণ।

সমস্ত যুবসমাজকে যে মন্ত্রে তিনি দীক্ষিত করে যেতে চেয়েছিলেন, তা হলো, "অভীঃ "

"বীরভোগ্যা  বসুন্ধরা ", ভয়ই মৃত্যু, ভয়ই পাপ, ভয়ই নরক, ভয়ই অধর্ম, ভয়ই ব্যভিচার। পৃথিবীর যা কিছু negative thoughts, তার সবকিছুই এই ভয়রূপ শয়তান থেকে বেরিয়েছে। সুতরাং সর্বত্র ভয়হীন হয়ে যুবকদের স্বার্থহীন মনোভাব নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। ফিলোসফি, যোগ, তপ, ঠাকুরঘর, আলোচাল, কলামূলো এসব ব্যক্তিগত ধর্ম, দেশগত ধর্ম, আর পরোপকার হলো সার্বজনীন মহাব্রত।

কিন্তু এসব কথা শুনছে কে। আজকের সন্তানেরা নিজেদের বৃদ্ধ মা বাবাকে বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসে। তারা কোথায় পাবে এই তপস্যাবিরচিত অতিকায় আত্মবল?

প্রশ্নগুলো এখানেই।

আর একটি দিক রয়েছে, যেখানে অগনিত তরুণ দৃপ্তকন্ঠে বলেন তারা ভগবান মানেন না, তারা ধর্ম মানেন না, তারা চান আজাদি, 

“…ভুখমারি সে, আজাদি / হাঁ ভেদভাব সে আজাদি / হাম লেকে রহেঙ্গে, আজাদি / তুম কুছ ভি করলো, আজাদি / হাঁ পুঁজিবাদ সে, আজাদি / হাঁ মনুবাদ সে, আজাদি…” এই শ্লোগান এই মুহূর্তে সারা ভারতে শ্লোগান হিসেবে ভাইরাল। "

তারা মনে করেন হিন্দুত্ব একটি সাম্প্রদায়িক ধারণা। বহুক্ষেত্রে তাদের চাওয়া আজাদি সঠিক হলেও এই চিন্তাটির মাধ্যমে তারা আপামর ভারতবাসীর সঙ্গে একাত্ম হতে পারবেন না। 


কারণ হিন্দুত্ব বস্তুতপক্ষে নির্দিষ্ট কোন মতবাদ নয়।


বিবেকানন্দ ভীষণ সুন্দর করে বলেছিলেন, 


"শিশিরবিন্দু যেমন নিস্তব্ধ, অদৃশ্য ও অশ্রুতভাবে পড়িয়া অতি সুন্দর গোলাপকলিকে প্রস্ফুটিত করে, সমগ্র পৃথিবীর চিন্তারাশিকে ভারতের দান সেইরূপ বুঝিতে হইবে। নীরবে, অজ্ঞাতসারে অথচ অদম্য মহাশক্তিবলে উহা সমগ্র পৃথিবীর চিন্তারাশিতে যুগান্তর আনিয়াছে, তথাপি কেহই জানে না…

কখন এরূপ করিল। "


 আমাদের ভারতবর্ষের আত্মাটি তার ধর্মে নিহিত।এই অখন্ড সত্যটি বিবেকানন্দর মতো লোক দেখানো ভগবান পুজোর চুরান্ত বিরোধী একজন মানুষও মুক্তকন্ঠে স্বীকার    করেছিলেন।

তিনি বলেছিলেন হিন্দুইজম নিয়ে। এই হিন্দুত্ববাদ কি আসলে, ভারতীয় যুবকযুবতীরা কি এই হিন্দুত্ববাদকে সত্যিই কোনদিন উপলব্ধি করেছেন।

পৃথিবীর সকল জাতির মধ্যে কেবল এই জাতিই কখনও অন্য জাতিকে যুদ্ধ বিগ্রহের দ্বারা জয় করতে চায়নি, সেই শুভ কর্মই হিন্দুস্থানকে একটি আদর্শ বাসভূমিতে পরিনত করেছে। এখান থেকেই উত্তর দক্ষিণ, পূর্ব পশ্চিম সর্বত্র দার্শনিক জ্ঞানের প্রবল তরঙ্গ উথ্থিত হয়ে পুরো পৃথিবীর জড়বাদী সভ্যতাকে আধ্যাত্মিকতায় পূর্ণ করে চলেছে বার বার! তিনি এই কথা তখনও সোচ্চারে বলেছেন ভাবী ভারতকে। আর উত্তর প্রজন্মের পাশ্চাত্য প্রীতিকেও তিনি নিন্দে করেননি, তার বাস্তববোধ এতোটাই প্রখর ছিল যে, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন জোর করে যুবকদের ওপর কিছু চাপিয়ে দেওয়া যায় না। সেই লক্ষেই বলেছিলেন,

"বাহ্য সভ্যতা আবশ্যক, শুধু তাহাই নহে ; প্রয়োজনের অতিরিক্ত বস্তুর ব্যবহারও আবশ্যক, যাহাতে গরীব লোকের জন্য নূতন নূতন কাজের সৃষ্টি হয়। "


যৌবনের প্রান্তদেশে দাঁড়িয়ে আমি যখন এটা লিখছি, তখন আমার হৃদয়ে একটিই প্রশ্ন জাগছে বার বার, আমি কি করলাম। তিনি গৃহকোণে বসে নীরবে জ্ঞান আহরণকে তেমন কোন শ্রেষ্ঠত্বের স্বীকৃতি দেননি, যুবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বার বার শুধু পরার্থে কাজ করে যেতে বলেছেন, তাদের মাতৃভক্তিকে শ্রদ্ধার সঙ্গে যার যার পারিবারিক ও দেশ জীবনে প্রতিষ্ঠার কথা বলেছেন, ভয়কে জয় করতে বলেছেন। ভাবী প্রজন্মের ঋষিতুল্য সেইসব ভারতীয় যুবকগণ কি সত্যই কোনদিন  স্বামী বিবেকানন্দকে পাঠ্যপুস্তক, সঙ্গীত, প্রার্থনাসভা, ইতিহাসের উত্তরপত্র থেকে নামিয়ে এনে নিজেদের মধ্যে ধারণ করে ভারতমহাসাগরের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ বেলাভূমিতে দাঁড়িয়ে শান্ত অথচ দৃঢ় কন্ঠে বলতে পারবেন,

আমরা কোন অবস্থাতেই আর পরমুখাপেক্ষী হবো না, আমাদের মধ্যে আছে অসীম শক্তি, আমরাই আমাদের সকল সমস্যার সমাধান করবো, এই মাটিই আমাদের সমস্ত শক্তির আধার। 



0 মন্তব্য(গুলি):