পঁচিশে বৈশাখ@বৈদেহী. com
পঁচিশে বৈশাখ @বৈদেহী.কম
©চিরশ্রী দেবনাথ
হ্যালো ! হ্যালো ! শোনা যাচ্ছে ?
মনে হয় নেট ডাউন। কিছুই শুনতে পাচ্ছেন না।
ওকে।
শুনতে হবে না।
ভাবুন না হয় আমাকে !
অনুভব করুন, বিষে ও অমৃতে,
নাগরিক কোলাহলে ও আদিবাসী গ্রামে।
আমি এখন রক।
আমি এখন রহস্য হারিয়ে ফেলা মোড়কে মোরা দ্রিম দ্রিম।
সমস্ত এশিয়া জুড়ে বইছে দাবদাহ !
হলদে শাড়ি পরে গ্রীষ্মকে প্রবল আহ্বান জানিয়েছিল ললনারা।
তাই এই দশা, এই কামনাদগ্ধ রূপ।
মোট পঞ্চান্ন দিন বর্ষা আসেনি লাগাতর,
শরীর থেকে যাপনের ছাল উঠে যাচ্ছে ক্রমাগত
হয়তো নতুন করে দেখতে পাবেন একটি উদ্ভিন্ন
সত্তাকে।
অতএব পেশ করে ফেলি অনুরোধ,
নুনের দামও নির্ধারিত আজ প্রত্ন হরফে,
বলছি যে একটা গান লিখতে হবে।
আপনার সব গান শেষ হয়ে গেছে, পড়ে আছে কঙ্কাল।
সুরকে বেঁধে রেখেছে যেন জমাট মেধা।
কিন্তু দিকে দিকে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি।
নতুন গান না হলে চলে বলুন?
ঠিক তেমন একটি গান, যার
শব্দ খেয়ে ফেলেছে সুর,
সুরকে হজম করেছে প্রেম,
প্রেমকে দাহ করে নামছে বর্ষার জলধারা !
ওহো সার্ভার ডাউন, যোগাযোগ হচ্ছে না তাঁর সঙ্গে!
এদিকে সকাল গড়িয়ে যাচ্ছে গোধূলির রাঙাপথে...
কি করছো বৈদেহী? এখনও নতুন গান নামাতে
পারছো না?
মনে হচ্ছে আমি বাদ পড়ে যাবো? তাই না স্যার?
হুম। আরো দুঘন্টা সময় দিচ্ছি, তারপর কী যেন
নাম ...ঐ যে নতুন মেয়েটা, এখনও যার খোলস
ছেঁড়া যায়নি।
ডোন্ট অ্যরি স্যার! আমার খোলসও অক্ষত।
একটু চেষ্টা করছি, ভাবতে দিন।
আহ্ কী হচ্ছে ঠাকুর? সাড়া দাও। অনুভব করো প্লিজ।
খোলস সহ কেমন? আমি আবার ওটার নিচেই
থাকতে ভালোবাসি। শ্যাওলার চাষ করি তো।
চোখ বন্ধ করে আছি।
ধুলোর কণা থেকে রশ্মি বেরুচ্ছে, মাটির গান,
গুঞ্জরিত রূপময় বেদনা, মনে হচ্ছে কিছু একটা হবে,
খুঁজে পাচ্ছি নতুন কোনো বেদ, নিজস্ব স্পর্শ সমূহ।
ইউরেকা !
এই তো পেয়েছি গান সবুজ অক্ষরে লেখা, পান্না'র ক্ষত থেকে ঝরছে অশ্রুধারা ।
কিন্তু ...অসম্পূর্ণ!
দু ঘন্টা শেষ।
কি বললেন স্যার? আমি বাদ পড়েছি!
তবে তাই হোক। আমি যে শেষ লাইন খুঁজে পাই না কখনো ...কোনোদিন
শাস্তি হোক আমার।
ঠাকুর আর জ্বালাচ্ছি না আপনাকে।
আপনি সমস্ত চিৎকার গিলে ফেলুন নীলকণ্ঠের মতো।
ঘুমিয়ে থাকুন কালপুরুষের বিছানায়।
আর আমার খোঁজ চলতে থাকুক অনন্তের পথে ...
0 মন্তব্য(গুলি):