গলনাঙ্ক নির্ধারিত হয়নি
গলনাঙ্ক নির্ধারিত হয়নি
***************
সৌন্দর্যের ইতিহাস ঘাঁটলে জানা যায়
মেয়েরা তাদের মুখের ত্বকে জোঁক বসিয়ে রাখত।
ওরা টেনে নিত রক্ত, ফ্যাকাশে মুখে ছেয়ে যেতো নিরক্ত জ্যোৎস্নার ভৌতিক আভা,
সেই জ্যোৎস্নার মুখোশ নিয়ে পারিজাত বনে ঘুরে বেড়াত ললনারা, তাদের নখের শ্রী বৃদ্ধি করত
মৃত প্রজাপতির পাখার গুঁড়ো,
মসৃণ নখশিরায় তাই বিগত জন্মের শুঁয়োপোকার বক্র চলন,
মিলনোদ্যত সমুদ্র জীবকে হত্যা করলে যে মহামূল্য
জৈব রস পাওয়া যায়, তার মোক্ষম লেহনে দেহ বল্লরী উদ্ধত শিখার মতো লকলকে হয়ে ওঠে,
পারদ কণিকা মিশ্রণে ঢাকা ঠোঁটের নিচে,
উত্তর গোলার্ধ জুড়ে আসন্ন বসন্তের ষড়যন্ত্র,
কুমিরের রক্তে যেন মিশরীয় ভালোবাসার ফেনিল দ্যোতনা
প্রত্যেকটি সৌন্দর্যই শেষপর্যন্ত পুরুষগমন করে না,
দ্যুতি, তীক্ষ্ণতা, কেশদামের পুষ্পশোভা, শয্যায় খুলে রেখে, কিছু কিছু মেয়ে হেঁটে যায় ধূসর প্রান্তরে,
তাদের গ্রীবা থেকে নেমে আসা দুর্বোধ্য অ্যামাকো
কেউ পড়তে চায়নি কোনোদিন।
0 মন্তব্য(গুলি):