বর্ষার কবিতা
বর্ষা দিনে
.........
শহর জুড়ে নামছে বৃষ্টি
ভেজাবে এবার জলের ছাট
রুদ্ধ দ্বার, শুভ্র রাত
মরু গোধূলি উটের সারি
এক টুকরো বেলুচিস্তান
কাঁদছে আকাশ পড়ছে নীল
হচ্ছে তারা অভিমান
দিচ্ছে আঘাত হালকা করে
ধমণীতে ভোরের সেতার
উড়ছে খালি চপের ঠোঙা
তরুণী হাত রেলিং ধরে
মিষ্টি বৃষ্টি দিচ্ছে ফোঁটা
ঘেমো কপালে এই দুপুরে
ফিরছে স্কুল খয়েরী স্কার্ট
ঝপাস ঝপাস আকাশ ফাঁক
ছুটছে ছাতা নম্বর কম
ভেতরে ভয় বাইরে হাসি
এই বয়সেই রাখছে বাজি
শেষ বিকেলে সাজছো তুমি
হলুদ প্লাজো লাল কুর্তি
টুকরো বিদ্যুৎ হাত ব্যাগে
রেখেছো ভারী যত্ন করে
আইসক্রিম ঠোঁটে নিচ্ছো চেটে
একটু ধুলো, ইঞ্চি আকাশ
গলার খাঁজে আটকে রইল
তিনটি কথা ক্লান্ত বাতাস
বারান্দাতে ভিজছে পাপোশ
ডুবছে ধুলো রন্ধ্রপথে
যাচ্ছে চুরি পায়ের ছাপ
বর্ষা তোমার কায়দা ভারী
লিখছো চিঠি পাতার ডগায়
টুপ করে পড়ছে হেসে
পলকা ঘাসের দুষ্ট নৌকো
ছুটছে তাতেই পাগল হয়ে
যেদিন ছিল দরকার খুব
সেদিন তুমি ঝরোনি
খাতায় শুধু জিরো দাগ
হতাশ চোখে আকাশ দেখা
হৃদয়ে ছিল অবুঝ অসুখ
সে এক গভীর বেলা
অন্যমনস্ক দুঃখ খেলা
রাস্তায় আজ হলুদ ভীড়
কেমন যেন অদ্ভুত সব
একটুখানি কাটলো পা
রক্ত ঝরলো দু এক ফোটা
আস্তে আস্তে দীর্ঘ ক্ষত
বাজার ঘুরে ঔষুধ এলো
বললাম আমি লাগাবো না
মেঘ করেছে সারা বেলা
ভৈরবীতে আসবে দামাল
ঘুমের কাছে ছুটি নিয়েছি
লিখবো শুধু বৃষ্টি দাগ
দেবো কেবল সেই মেয়েকে
বলছে যে শুষ্ক হেসে
ঘোর বর্ষায় চিনছো যাকে
আসছে বছর ভাববে বসে
হয়েছিল সে এক মস্ত ভুল... নির্ভুল
ঝরবে জল নতুন ছাতার
ভিজবে তখন আনমনে
চোখ রেখো অনামিকায়
নিভছে সেথায় গতবারের মেঘলা রোদ ...
© চিরশ্রী দেবনাথ
0 মন্তব্য(গুলি):